৫ দফা দাবি নিয়ে “বাংলাদেশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ফোরাম” এর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
তাদের দাবী সমূহঃ
০১। বেতন গ্রেড ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ১০ ম গ্রেড করা।
০২। পদের নাম পরিবর্তন করে কম্পিউটার ল্যাব ইন্সট্রাক্টর করা।
০৩।আই.সি.টি সহ বিজ্ঞান বিভাগে এইচ.এস.সি/সমমানদের প্রয়োজনে উচ্চ ডিগ্রী/ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে ১০ম গ্রেডে প্রদায়ন করা।
০৪। পরবর্তীতে এই পদে শুধুমাত্র ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়োগ করা।
০৫। কাজের সু- নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ফোরামের সভাপতি মোঃ সেকেন্দার আলম সুমন বলেন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ডিপ্লোমা যোগ্যতায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, ট্রেড ইন্সট্রাক্টর, আইসিটি শিক্ষক, প্রদর্শক নিয়োগ হলেও বেতন গ্রেডের ক্ষেত্রে চরমভাবে বৈষম্যের শিকার কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর।ট্রেড ইন্সট্রাক্টর,আই.সি.টি শিক্ষক,প্রদর্শক বেতন পায় ১০ম গ্রেডে অথচো কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পায় মাত্র ১৬ তম গ্রেড।যোগ্যতা এক হওয়া সত্বেও বেতন বৈষম্যের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক ধরনের বৈষম্যের শিকার আমাদের হতে হয়।
এই বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা গত সরকারের সময়ে একাধিকবার আবেদন স্মারক লিপি প্রদান করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে তারা আমাদের বিষয়ে তেমন কোন অগ্রগতি করেননি! যার কারণে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
আমরা নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য জন্য আমরা ৫ দফা দাবী নিয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়,কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর,আইসিটি মন্ত্রণালয়,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখায় মোট ১০ টি স্মারকলিপি জমা করি। আমরা আশা করি নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে বৈষম্য দূর করবেন। সংগঠনের সভাপতি মোঃ সেকেন্দার আলম সুমন আরো বলেন আমাদের সংগঠন একটি অরাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।
স্মারকলিপি প্রদানের সময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমানুল্লাহ সহ ৯ জন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন আমরা বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এমন কোন কাজ করব না যাতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অধিকার দশম গ্রেড পাব।