ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে বাকশালি স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগ এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তাই সতর্ক থেকে নব বিপ্লবের এই পরিবর্তনকে অর্থবহ ও সংহত করতে হবে। এজন্য ঐক্যবদ্ধ থেকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে। তাহলেই এর সুফল দেশবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছান সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর হয়ে সড়ক পথে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার সময় নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক পথসভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন। শহরের শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে (সাবেক শহীদ স্মৃতি চত্বর) উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনার ষড়যন্ত্রের ইতোমধ্যে তার অনেক লক্ষণ প্রকাশ হয়েছে এবং তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে ক্যু ঘটানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর নির্যাতনের ধোয়া তুলে ইস্যু তৈরীর মাধ্যমে আগের মতই মিথ্যেচার করে জুজুর ভয় সৃষ্টি করেছে। যা সংখ্যালঘুদের সহ প্রশাসন ও সরকারকে বিচলিত করে করে তুলেছে।
এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে দেশের বৃহৎ দল হিসেবে আমাদেরকেই কাজ করতে হবে। এজন্য সকল নেতাকর্মীকে দায়িত্ব নিয়ে হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতার মাধ্যমে সকল অরাজকতা মুকাবিলা করে স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ অনেক আশা নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের সে আশা পূরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৭ বছর দেশ একটি কারাগারে পরিনত হয়েছিল। আয়নাঘরের মত বর্বরতার নজির বিশ্বসভায় আমাদের মাথাকে নিচু করে দিয়েছে। সৈয়দপুরের মানুষও সেই নির্মতার হাত থেকে রেহাই পায়নি। এখানকার নেতাকর্মীরাও হামলা মামলা ও চরম নির্যাতনের শিকার। কিন্তু আমরা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবোনা। কারণ আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক।
আমাদের নেত্রী শত নির্যাতনের পরও অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি, দেশ ছেলে পালিয়েও যাননি। চরম অসুস্থতাবস্থায়ও তিনি গণ অভ্যুত্থানের পর আমাদের সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন আর হানাহানি কাটাকাটি নয়, দেশকে গড়তে সম্মিলিত ভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। যাতে কোন অপশক্তি আমাদের এই বিপ্লবকে নস্যাৎ না করতে পারে। নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কোন প্রতিশোধ নয় বরং ক্ষমার মাধ্যমে সবাইকে আপন করে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার, আব্দুল গফুর সরকার, সহ- সভাপতি শফিকুল ইসলাম জনি ও সুমিত কুমার আগারওয়াল, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার, সহ- সাধারণ সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার, সহ-সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, এরশাদ হোসেন পাপ্পু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামানিক, বিএনপি নেতা শওকত হায়াৎ শাহ, শাহিন আকতার প্রমুখসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।