জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পঞ্চগড়ের শহীদ পাঁচ জনের স্মরণে পাঁচটি উপজেলায় পাঁচটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়া, শহীদ সাগরের গ্রামের রাস্তা পাকা করে সেটির নামকরণ করা হবে “সাগর সড়ক”। জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই প্রকল্পগুলো হাতে নেওয়া হয়েছে।
“শহীদ সাগরের নামে সড়ক” গত ৫ আগস্ট ঢাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের কীত্তিনীয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সাগর রহমান। সাগরের গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে পাকা করার দাবি ছিল এলাকাবাসীর। পরিবারের অনুরোধে এটি পাকা করে শহীদ সাগরের নামে নামকরণ করা হবে।
” পাঁচ শহীদের স্মরণে লাইব্রেরি” জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পঞ্চগড়ের পাঁচজন শহীদ হন।
১.”সাগর রহমান” কীত্তিনীয়া গ্রাম, সদর উপজেলা। ২.”আবু ছায়েদ” নতুন বস্তি গ্রাম, বোদা উপজেলা। ৩. “সুমন ইসলাম” আমিন নগর গ্রাম, সাকোয়া ইউনিয়ন। ৪.”শাহাবুল ইসলাম” মেলাপাড়া গ্রাম, দেবীগঞ্জ উপজেলা এবং ৫. “সাজু ইসলাম” টোকরাভাসা গ্রাম, ভাউলাগঞ্জ ইউনিয়ন।
এই পাঁচ শহীদের নামে বোদা, দেবীগঞ্জ, তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী এবং সদর উপজেলায় লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রতিটি লাইব্রেরিতে কয়েক হাজার বই থাকবে এবং তা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রতিটি লাইব্রেরির জন্য আপাতত ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ, উপহার সামগ্রী এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহতদের জন্যও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানান, এই সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পঞ্চগড়ের শহীদদের স্মরণে নেওয়া এ উদ্যোগগুলো শুধু তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনই নয়, বরং শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের আত্মত্যাগকে জীবন্ত রাখার প্রয়াস। লাইব্রেরি এবং রাস্তা নির্মাণের এ প্রকল্পগুলো জেলার মানুষের মধ্যে জ্ঞানচর্চা ও উন্নয়নের নবদিগন্ত উন্মোচন করবে। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রয়াস মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রতিবেদনঃ স্নিগ্ধা খন্দকার,পঞ্চগড়।