বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারীর সৈয়দপুর শাখার উদ্যোগে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর ১৪ নং ওয়ার্ড কমিটির আয়োজনে এই সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী জেলা শুরা সদস্য ও সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর শহর শাখার আমীর শরফুদ্দিন খান, সেক্রেটারী মাওলানা ওয়াজেদ আলী। সভাপতিত্ব করেন, ওয়ার্ড সভাপতি আফজাল হোসেন ও সঞ্চাচলনায় ছিলেন, সেক্রেটারী জয়নাল আবেদীন।
বাঁশবাড়ী মসজিদ বাযতুস সালাম সংলগ্ন ইমামবাড়া মাঠে আয়োজিত এই সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম বলেন, ছাত্র জনতার রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে যে মুক্তির সোপান সৃষ্টি হয়েছে তাকে অর্থবহ ও কার্যকর করতে হবে। অতীতের সকল বৈষম্য ও অনিয়মকে দূরীভুত করে আদর্শের ভিত্তিতে সাম্য ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য ধর্ম বর্ণ সকল মানুষকে একসাথে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে জামায়াতের কর্মীদের সবচেয়ে বেশি অগ্রণী সেনাপতির দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আগামী দুর্গাপূজা অতীতের সকল সময়ের চেয়ে অনেক বেশি উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্য দিয়ে যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা করতে পারে সেজন্য জামায়াতের নেতাকর্মীরা সার্বিক সহযোগিতা করবে। তাদের মনে যে আশংকা রয়েছে তা দূর করে তাদের পূজা উৎসবে প্রয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতন্ত্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করবে জামায়াত ও শিবিরের লোকজন। এক্ষেত্রে পরাজিত স্বৈরাচারীর দোসররা কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে তাদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমীরে জামায়াতের নির্দেশ মত সৈয়দপুর জামায়াতের লোকবল প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাবে। আমরা বিগত ১৭ বছর সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হলেও ইসলামের আলোকে সব ভুলে সাধারণ ক্ষমার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। এজন্য আজও সৈয়দপুরসহ সারাদেশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সাভাাবিক জীবন যাপন করছেন। কিন্তু অনেকে এখনও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের হুশিযার করে দিয়ে তিনি বলেন, আসুন পরিশুদ্ধ হয়ে ভ্রাতৃত্বের সৈয়দপুর তথা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করি। তাতে সকলের কল্যাণ সাধিত হবে।