মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন-আদালত
  2. কৃষি ও পরিবেশ
  3. খুলনা
  4. চট্টগ্রাম
  5. ঢাকা
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. বরিশাল
  8. বিনোদন
  9. মতামত
  10. ময়মনসিংহ
  11. রংপুর
  12. রাজশাহী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সমগ্র অর্থনীতি

বুড়ি তিস্তার জলাধার খননে স্থানীয়দের আর পনি উন্নয়নের বোর্ডের বিরোধের শেষ কোথায় ?

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ ১:৫১ অপরাহ্ণ

নীলফামারীর ডিমলায় বুড়িতিস্তা জলাধার খননে স্থানীয়দের সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বুড়িতিস্তায় জলাধার খননের প্রকল্প হাতে নিয়েছে অধিগ্রহণকৃত ১২১৭.৬১একর জমিতে। ৩হাজার ১’শ ৫৮হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা নিশ্চিতে প্রকল্পটি ২০২১সালে একনেকে পাশ হয়। তার পরেই কার্যক্রম চালু হলে স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে। নানান হামলা-ভাঙ্চুরে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মামলা হয় বেশ কয়েকটি। কিন্তু স্থানীয়দের দাবী, পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিগ্রহণের টাকা দিয়েছে মাত্র ১০৪একর জমির। এদিকে আবার পানি উন্নয়ন বোর্ডেরও বিএস রেকোর্ড মূলে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯’শ একর জমি। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, প্রকল্পটি ষাটের দশকে বাস্তবায়নের পর থেকেই প্রায় ৫বছর ডুবে ছিলো স্থানীয়দের ফসলি জমি। একারণে ১৯৬৯সালের ২৫জুন ফসলের ক্ষতিপূরণও দেয়া হয়েছিল ক্ষতিগ্রস্থদের। কিন্তু বর্তমানে এসব জমিতে আবাদ হচ্ছে ধান, ভূট্টা আলু, মরিচ, পেয়াজসহ বছরে তিন থেকে চারটি ফসল। আর এই জমি জুড়ে আছে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ৫টি মৌজা। স্থানীয়রা বলছেন, এসব জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে ৫মৌজার মানুষ। একারণে প্রকল্পটি বাতিলসহ মামলা গুলো প্রত্যাহারের দাবী তাদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুড়িতিস্তার পাশ ঘেঁষা জমিতে নানা ধরণের ফসলের আবাদ হচ্ছে। আর ব্যারেজ এলাকায় দেখা গেছে জলাধার খননের জন্য প্রস্তুত ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এসব ফসলি জমি রক্ষার্থে দফায় দফায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভও করেছে স্থানীয়রা। প্রকল্প বাতিলের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপিও প্রদান করেছে তারা। এদিকে পনি উন্নয়ন বোর্ডও আবার মানববন্ধন করেছেন প্রকল্পে বাঁধা প্রদান কারীদের বিরুদ্ধে। মানববন্ধনে তারা প্রায় দেড় বছর ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পটির কাজ অব্যাহত রাখার দাবী জানান।

৭৫বছর বয়সি কুঠির ডাঙ্গা মৌজার কৃষক আব্দুর রউফ বলেন, আইয়ুব খানের আমলে কালীগঞ্জ নামক স্থানে বুড়িতিস্তা ব্যারেজ নির্মাণ করা হয়। ব্যারেজটি নির্মাণের পর থেকে কোন কাজে আসেনি। গেট বন্ধ করে রাখায় ৫বছর আশেপাশের জমিতে কোন আবাদ হয়নি। একারণে ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ আমাদেরকে ৬৯সালে টাকা দেয়া হয়েছিল। আমরা তো কখনও অধিগ্রহণের টাকা পাই নাই। এই জমিতে আমরা বছরে তিন থেকে চারটি ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। এখন এই জমিতে নাকি জলাধার খনন করবে গত কয়েক বছর ধরে ধুম চলছে। বাঁধা দিতে গেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার মিলে আমাদের ওপর নানা নির্যাতন করে। নিরিহ মানুষদের আসামীও করে তারা। সেই থেকে আমরা চরম আতঙ্কে আছি। পুলিশের তাড়ায় ঠিকভাবে বাড়িতেও থাকতে পারছি না। আমরা চাই এই প্রকল্পটি বাতিল করা হউক। এতোগুলো ফসলি জমি নষ্ট করে কিভাবে জলাধার তৈরীর অনুমতি দিয়েছে হাসিনা সরকার।

রামডাঙ্গা মৌজার অলিয়ার রহমান, আমরা জলঢাকা ও ডিমলা উপজেলার মানুষ অনেক শান্তিতে বসবাস করছিলাম। ৪০ ও ৬২ রেকর্ডে এসব জমি আমাদের বাপ-দাদার নামেই ছিলো। কোন প্রকার জলাধার বা নদী ছিল না। কিন্তু ব্যারেজ নির্মাণ করে আমাদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। তাদের এই প্রকল্পে কখনো উন্নতি দেখি নাই। তারা পানি আটকিয়ে আমাদেরকে ভাতে মেরেছে। কিন্তু তারা কোন প্রকার ফল পায়নি। পরে তারা এখানে মাছ চাষ শুরু করে। তারপরেও তাদের সফলতা নেই। এখন তারা এখানে আবার ধলাধার খনন করার চেষ্টা করছে। আমরা বাঁধা দিয়েছে বলে আমাদেরকে অন্যায়ভাবে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দোসর এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের দাফটে বিভিন্ন মামলার আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা চাই এই ভূয়া প্রকল্প বাতিল করে আমাদের খেয়ে বাঁচতে দেন। আমাদের শান্তিতে থাকতে দেন।

জলঢাকা উপজেলার চিড়াভিজা গোলনার আব্দুর রশিদ বলেন, ব্যারেজ নির্মাণের পরে আমাদের বাপ-দাদার জমিতে পানিতে ডুবে যায়। সেসময়ে আমাদের চরম দূর্দিন গেছে। বাহিরে গিয়ে কাজ করে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। ফসল তলিয়ে যাওয়ায় জলাধার থেকে শাপলা ফুলের ঢ্যাব তুলে খেতে হয়েছে। কিন্তু তারা ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে জমির মালিকানা দাবী করছে। এখন তারা এই জমিতে জলাধার খনন করতে চায়। তারা জলাধারে পানি জমিয়ে পিছনের জমিতে সেচ দিবে মাত্র একবার। আর আমরা এই জমিতে ফসল ফসলাচ্ছি তিন থেকে চার বার। আমরা চাই এই প্রকল্প বাতিল করে আমাদেরকে স্বাভাবিক ভাবে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দেয়া হউক। এই জমিতে জলাধার খনন হলে আবারও আমাদের খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশল আতিকুর রহমান বলেন, আপনারা জানেন বুড়িতিস্তা ধলাধার খননে দীর্গদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রিজার্ভারের জন্য ও বুড়িতিস্তার জন্য জমি অধিগ্রহন ১৯৫৬-৫৭ সাল থেকেই শুরু হয়েছে। আর ১৯৯২-৯৩ সালে অধিগ্রহনের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা ১৭টি এলেকেসের মাধ্যমে ১২১৭.৬১একর জায়গা অধিগ্রহন করেছি। বর্তমানে আমাদের অধিগ্রহনকৃত জায়গায় স্থানীয়দের মাত্র ১৭টি স্থাপনা রয়েছে। অধিগ্রহনকৃত জায়গার ৬৬৭একরে জলাধার খনন হবে। এই খনন কাজের চলাকালে বিভিন্ন সময়ে আমরা স্থানীয়দের কাছে হামলার স্বীকার হয়েছি। এজন্য ডিমলা থানায় একটি, জলঢাকা থানায় ছয়টি ও আদালতে তিন মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৩০থেকে ৬০জনকে নামীয় আসামী আর বাকি কিছু অজ্ঞাত আসামীও রয়েছে। এটি একটি সরকারের লাভজনক প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিবছর অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হবে ২৬লাখ মেট্রিকটন, সাড়ে ১৫কোটি টাকার জ¦ালানির সাশ্রয়, সারের সাশ্রয় ২কোটি টাকার আর এতে পরিবেশেরও ভারসাম্য রক্ষা হবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চান তিনি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, বুড়িতিস্তা খনন কাজ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁলে আছে। আমরা আসার পর থেকে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই কাজ সম্পাদনের জন্য কয়েকবার অনুরোধ করেছে এই খনন পরিচালনায় ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগের জন্য। এছাড়াও অধিগ্রহনকৃত জমির মধ্যে ব্যক্তিগত স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য একটি তালিকাও দিয়েছে। সাধারণ মানুষও প্রকল্প বন্ধের দাবী জানিয়ে স্বারকলিপি দিয়েছে। আমরা চাই উভয়পক্ষ বসে একটা সুষ্ঠু সমাধান। যাতে সরকারের এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পও বাঁধাগ্রস্থ না হয় আর সাধরণ মানুষেরও ক্ষতি না হয়।

সর্বশেষ - সমগ্র জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত

দুর্গাপুরে ভারতীয় মদসহ সেনাবাহিনীর হাতে দুই যুবক আটক

শরণখোলায় আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ

আপনারা কেন এসেছেন, কি করতে পারবেন

কিশোরগঞ্জে মহান বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সংবর্ধনা

সংখ্যা লঘুদের দেশত্যাগ জাস্ট স্টেজ ড্রামা ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ব্যবসায়ীর নামে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ সৈয়দপুরে আঃ লীগ নেতার বিরুদ্ধে

কিশোরগঞ্জকে শিশুশ্রম বাল্যবিবাহ ক্ষুধা- অপুষ্টি ও প্লাস্টিক দূষণ মুক্ত উপজেলা গঠনে মতবিনিময় সভা

বছর শেষে রাফার ব্যস্ততা

পঞ্চগড়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত