সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দীনের দপ্তরে ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে ভারতীয় দূতকে পররাষ্ট্রসচিবের দপ্তরে ডেকে আনা হয়।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিএসএফ এবং বিজিবি এ ব্যাপারে যোগাযোগ করছে। আমরা আশা করি যে, আলোচনা বাস্তবায়িত হবে এবং অপরাধ মোকাবিলায় একটি সহযোগিতামূলক পদ্ধতি থাকবে।
সম্প্রতি সীমান্তের পাঁচটি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বিজিবি ও স্থানীয় লোকজনের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত ওইসব স্থানে বেড়া নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে, রোববার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় আছে। বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি সীমান্তের পাঁচটি জায়গায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ শুরু করেছে। বিজিবি ও স্থানীয় লোকজনের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত ওই সব স্থানে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে বিজিবির যোগাযোগ হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও এ বিষয়ে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে। তারা কূটনৈতিকভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৩ হাজার ২৭১ কিলোমিটার স্থানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে এবং ৮৮৫ কিলোমিটার স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হয়নি বলে জানান উপদেষ্টা।