নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ বিউটি বেগম (২৫) ও রুনা আক্তার (২৫) দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম ডাঙ্গাপাড়ার বদরুল আলমের কন্যা বিউটি বেগম (২৫) সাথে পার্শ্ববতী গ্রাম পশ্চিম দলিরাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ক’বছর আগে বিয়ে হয়। এ দম্পত্তির ৫ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ দম্পত্তির ক’দিন ধরে ঝগড়া চলছে। শুক্রবার রাত অনুমান ১১ টা হতে ১২ টার দিকে বিউটির স্বামী সুরুজ মিয়া বিউটির বড় বোনকে ফোনে জানান আমার সব শেষ। বিউটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনা বিউটির বড় বোন তার বাবার বাড়িতে জানালে তার বাবা, ভাই, স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে দেখতে পায় বিউটি বেগমের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে। তারা বিউটির মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ তার স্বামী সুরুজ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। এছাড়া বিউটির ভাই বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে ইউপি সদস্য হাসিব জানান।
অপর দিকে পুটিমারী ইউপির দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী হালকা পাড়ার রুনা আক্তারের (২৫) সাথে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের পারিবারিক কলহ চলছিল। শুক্রবার এ ঘটনায় রুনা আক্তারের সাথে তার স্বামী সাদ্দাম আলীর ঝগড়া হয় বলে এলাকাবাসী সুত্র জানায়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে পুলিশ খবর পায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারী আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে বিছানায় শোয়া অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। আজ শনিবার ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম মরদেহ দু’টি উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করে জানান- গাড়াগ্রামের ঘটনায় বিউটির স্বামীকে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনঃ লাতিফুল আজম,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারী।