রংপুরে বদরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শাশুড়ীর দফায় দফায় নির্যাতনে তীব্র ব্যাথায় যন্ত্রনায় ছটফট করছেন কাজলী বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূ।
শুক্রবার ২৩আগস্ট উপজেলা কালুপাড়া ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিত ঐ গৃহবধূ স্বামী আজিম বাদশাহ ও শাশুড়ী আনিছা বেগমের নাম উল্লেখ করে বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় লিখিত ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে মধুপুর ইউনিয়ন সন্তোষপুর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের নয়ামিয়া মেয়ে কাজলী বেগমের সঙ্গে কালুপাড়ার ইউনিয়ন ব্যাপারীপাড়া গ্রামে আনিসের ছেলে আজিম বাদশাহ বিয়ে হয়। বিয়েতে ছেলের পক্ষে চাহিদা মতো যৌতুকসহ অন্যন্য জিনিসপত্র প্রদান করেন। বিয়ের ২ বছর যাওয়ার পর ছেলেও তার মা আনিছা বেগম আবারও যৌতুকের জন্য ২লক্ষ টাকা কাজলী বেগমকে চাপ দেয়। এতে তিনি রাজি না হলে স্বামী ও শাশুড়ী মিলে নির্যাতন চালায়। সংসারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেও কাজলী বেগমকে মারধর করে। এরপর কোলজুড়ে তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। শুক্রবার ২৩ আগস্ট ঘটনার দিন আবারও যোতুকের ২লক্ষ টাকা আনতে বললে কাজলী বেগম বলে আমার বাবার ২লাখ টাকা কোথায় পাবে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজিম বাদশাহ ও আনিছাবেগম নির্যাতন চালিয়ে কাজলী বেগম কে বেদম মারধর করে। এতে
তার গলার পাশে ও মাথায় জখম হয়। স্থানীয়রা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বদরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে একজন চিকিৎসক বলেন, মারধরের ফলে তার দুই গালের পাশে ও কানের নিচে জখম হয়। এছাড়াও তার মাথায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তাকে সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়েছে।
ব্যাপারীপাড়া গ্রামের এক নারী বলেন, কাজলী বেগম অত্যন্ত শান্ত প্রকৃত মেয়ে। এই মেয়েটিকে প্রায় মারধর করে তার শাশুড়ি ও স্বামী দুজন মিলে।
এবিষয়ে নির্যাতন স্বীকার গৃহবধূ কাজলী বেগম বাবার বাড়িতে যেয়ে দেখি তিনি বিছানায় তীব্র ব্যাথার যন্তনায় ছটফট করেছেন। সাংবাদিককে বলেন, আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই। তাদের শাস্তি চাই আইনের কাছে।
অভিযুক্ত আজিম বাদশাহ ও তার মা আনিছা বেগমের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বাড়িতে আনিছা বেগমকে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, সংসারে তুচ্ছ ঘটনা হয়েছে। এতে আমার ছেলে কাজলী বেগমকে দুই চারটা চড় থাপ্পড় দেয়। যৌতুকের কথা অস্বীকার করেন তিনি।
বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু হাসান কবির, বলেন, বিষয়টি খুব দুঃখজনক। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।