বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ফয়জুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি এখানকার একমাত্র খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এই মাঠটির বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত করুণ। খেলার জন্য মাঠটির অবস্থা একেবারেই অনুপযুক্ত, ফলে খেলোয়াড়রা তাদের প্রাকটিস বা খেলার সঠিক পরিবেশ পাচ্ছে না। এলাকাবাসী এবং খেলোয়াড়দের মতে, মাঠটি সংস্কারের পাশাপাশি একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
মাঠের বর্তমান অবস্থা
ফয়জুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে খেলার উপযোগীতা হারিয়েছে। মাঠটি অসমতল, বৃষ্টির পর কাদা জমে থাকে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। ফলে স্থানীয় খেলোয়াড়রা নিয়মিত অনুশীলন করতে পারছে না। খেলাধুলার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তরুণ খেলোয়াড়রা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবলসহ অন্যান্য খেলাধুলার চর্চা ঠিকমতো করতে না পারায় এখানকার খেলোয়াড়দের প্রতিভা বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মিনি স্টেডিয়ামের দাবি
উপজেলার ক্রীড়ামোদী ও খেলোয়াড়রা মনে করেন, চিতলমারীতে একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হলে স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তারা বলেন, “আমাদের মতো ছোট জায়গায় একটি মিনি স্টেডিয়াম থাকলে তরুণদের মধ্যে খেলার আগ্রহ বাড়বে এবং তারা ভালোভাবে অনুশীলন করতে পারবে।” এছাড়াও, মিনি স্টেডিয়াম হলে এখানে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হবে, যা স্থানীয় ক্রীড়াচর্চার উন্নয়নে সহায়ক হবে।
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ
খেলোয়াড় ও ক্রীড়ামোদীরা স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছেন, “আমাদের এখানে একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করলে তরুণ প্রজন্মের ক্রীড়া বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। মাঠটি সংস্কার করে যদি একটি মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা যায়, তাহলে চিতলমারীর ক্রীড়াঙ্গন আরও সমৃদ্ধ হবে এবং এখানকার তরুণরা জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাবে।”
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই মাঠ সংস্কার ও মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ আশাবাদী, শীঘ্রই তাদের এই দাবি বাস্তবায়িত হবে এবং চিতলমারী পাবে একটি আধুনিক খেলার মাঠ।
প্রতিবেদনঃ রনিকা বসু (মাধুরী), খুলনা।