সোস্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু পেশাজীবি মানুষের সততার খবর প্রায়শই সামনে আসে।রাস্তায় কিংবা বিভিন্ন যানবাহনে পরে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, অর্থ কিংবা দামী মোবাইল ফোন বা মোটা অংকের টাকা ফিরত দেওয়ার খবর নতুন কিছু নয়। আর এই ঘটনাগুলো বেশির ভাগ, দিন আনে দিন খাওয়া মানুষের মধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। যাদের কাছে সততাই সম্পদ।
ঠিক তেমনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে রিকশা চালান দিগন্ত কুমার দাস। গতকাল রোববার সকালে রিকশা চালাতে বের হন তিনি। হঠাৎ রাস্তায় পড়ে পান সাড়ে ৫ ভরি স্বর্ণের নেকলেস। যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৭ লাখ টাকা।
জানা যায়, নেকলেসটি ছিল সিঙ্গাপুর প্রবাসী রাশেদ হোসেনের স্ত্রীর। এই দম্পতি কালীগঞ্জের হেলাই গ্রাম থেকে ঝিনাইদহ শহরে তার এক আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে হারিয়ে যায় গয়নাটি। এরপর শহরে মাইকিং করা হলে প্রায় ঘণ্টাখানেক পর রিকশা চালক দিগন্ত কুমার দাস তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং নেকলেসটি ফেরত দেন। এত দামি জিনিস পেয়েও তাতে লোভে পড়েননি দিগন্তের।
তার এই মহানুভবতার পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়ার পর প্রশংসায় ভাসছেন রিকশাচালক দিগন্ত কুমার।
এ বিষয়ে রিকশাচালক দিগন্ত কুমার দাস তার বক্তব্যে বলেন, তিনি ভাড়া নিয়ে রিকশা চালান। তার বাবা প্রতিবন্ধী ও মা গৃহিনী। রিকশা চালিয়ে যা আয় হয় সেটি দিয়েই সংসার চলে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের জনতা ব্যাংক মোড়ে সোনার নেকলেসটি পাই। এরপর তিনি ফেরত দেয়ার জন্য প্রকৃত মালিক খুঁজছিলেন। মাইকিং শুনে নিশ্চিত হওয়ার পরই তিনি সেটি ফেরত দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
রিকশাচালকের এই মহানুভবতা দেখে বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। পড়ে পাওয়া স্বর্ণ মালিকের কাছে ফেরত দিয়ে সততার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। এতে সততার পুরস্কার হিসেবে তাকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছেন রাশেদ।