টেকনিশিয়ান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে চাকরি জীবন শুরু করলেও তিনি প্রথমে মোবাইল ফিক্সার নামে একটি শো রুম দেন, এরপর উপার্জনের মাধ্যমে বিভিন্ন শপিংমলে দোকানের সংখ্যা বাড়িয়েছেন তরুন উদ্যোক্তা সজিব। চড়ছেন দামি গাড়িতে। এসব দেখে সজিবের নামে বিলাসবহুল জীবনের উৎস জানতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) অভিযোগ দায়ের করেছেন কামরুল ইসলাম নামের মোতালেব প্লাজার আরেক ব্যবসায়ী।
এতে সজিব বলেন, এখানে কামরুল ইসলাম আমার ব্যবসায়িক ক্ষতি করতে চেয়েছেন। যেটা হিংসা প্রবণতা থেকে করেছেন। তবে আমার মত শূন্য থেকে এমন পর্যায়ে আসা ব্যক্তির সংখ্যা মোতালেব প্লাজায় অনেকই আছেন।
সজিব আরও বলেন, আমি বেশিরভাগ দোকান ব্যাংক লোন নিয়ে করেছি এবং আমার কয়েকজন বন্ধুর কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়েছিলাম। যার সম্পূর্ণ প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে এবং ব্যাংক তো আর মিথ্যা বলবে না।
আরও সংবাদ পড়ুনঃ https://samagratv.com/news/711
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, মার্কেটের পুরানো ব্যবসায়ীরা যখন বৈধভাবে ব্যবসা করে ভাঙা সাইকেল ও মোটরসাইকেল নিয়ে মার্কেটে আসেন, তখন চার বছরে সজীব জমাদ্দার কিভাবে বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করেন।
এই বিষয় নিয়ে সজিব বলেন, এখানে মূল বিষয় হলো আমার দোকানের জনপ্রিয়তা থাকার কারণে প্রতিনিয়ত কাস্টমার লেগেই থাকে, কারন আমরা কাষ্টমারকে সঠিক সেবা প্রদানে অঙ্গিকারবদ্ধ।
তাছাড়া আমি বিভিন্ন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে আমার মোবাইল ফিক্সার লিমিটেড প্রচারণা চালিয়ে আরও বেশি কাস্টমারের কাছে আমার প্রতিষ্ঠান তুলে ধরেছি। এতে করে দিন দিন আমার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। আল্লাহর রহমতে ব্যবসায়িক ভাবেও আমরা সুনামের সাথে এগিয়ে আছি। তবে গাড়ির যে বিষয়টি এসেছে সেটিও আমি লোনে ক্রয় করেছি, কাগজপত্র সব আছে আমার কাছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে তৌহিদ আফ্রিদি সাথে আমার সখ্যতা নিয়ে একটা মহল নানা ভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। এমনকি সমালোচিত সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের সঙ্গে সখ্যতা আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কখনোই ডিবি হারুনের সাথে আমার কথা হয়নি। আর আফ্রিদি আমার ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলো। এটা শ্রেফ টাকা দিয়ে ব্রান্ড প্রমোশন করাতাম। বিশেষ কোন সার্থ ছিলোনা।মার্কেটের অনেকেই বিভিন্ন সময় জনপ্রিয় ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর দিয়ে প্রমোশন করিয়েছেন।
রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সজিব বলেন, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের সাথে একটি ছবি নিয়ে আমাকে হেয় করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতার সাথে একটা ছবি থাকা খুবই স্বাভাবিক। ওটা একটা ইফতার মাহফিলে দাওয়াত পেয়েছিলাম। তবে আমি রাজনৈতিক ভাবে কোন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। এমন কি কোন পোষ্ট পদবিতেও নেই। স্থানীয় মানুষজন আমাকে আমার পারিবারিক মর্যাদার জন্য ভালোবাসে।
আর আমার মানসিক শান্তির জন্য নিজের এলাকা মানুষজন ও দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের চেষ্টা করি। এটিও আমার পারিবারিক শিক্ষা।