পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হামলায় বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও ক্ষতিসাধন করে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। এঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে ও পরিবারের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের সফিকুল ইসলাম, জান্নাত বেগম, হালিমা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ওলিয়ার, আব্দুল কুদ্দুস সহ কয়েকজন ব্যাক্তি আমাদের কেনা জমি নিজেদের দাবী করে জাল দলিল করেন। পরে এ নিয়ে মামলা দায়ের করা হলে তারা মামলায় হেরে যান। এরপর থেকে আমাদের মেরে ফেলার উদ্দেশ্যই তারা বিভিন্ন সময়ে বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালাতো। গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুড়াল, রাম দা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়ি ঘরে হামলা করে ঘরের জানালা, দরজা, সীমানা ঘেরার টিনের বেড়া সহ বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। এক পর্যায়ে তারা ভূক্তভোগী সফিকুলের স্ত্রী জান্নাতের গলায় ওরনা পেচিয়ে ধরে। পরে তারা তার গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা ঘরে আগুন দেয়ার জন্য বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে ঘরে নিক্ষেপ করে। পরে সন্ত্রাসীরা ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার উদ্যেশে নানা রকম কথা বলতে থাকে। পরে এনিয়ে থানায় অভিযোগ করা হলেও তারা উল্টে সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিজিবিকে খবর দিতে বলে। পরে বিজিবি সদস্যরা এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করে প্রধান উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে।
তবে পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, আমি কেন অন্য জনের নাম ভাঙ্গিয়ে দখল করবো। মুলত ওই জমি আমরা ১৯৭২ সালে কিনেছিলাম। আর তারা কিনেছে ২০০০ সালের পরে তাহলে জমির মালিক কে হবে। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান ও বিচার চাই। তারা আমাদের নামে অযথাই মামলা দায়ের করে বেড়ায়। আমরা কেন হামলা করতে যাবো।