শীত হোক বা গ্রীষ্ম, অথবা বার বার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটার অভ্যাস, দীর্ঘ ক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকার দরুণ ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়।
ত্বকে থাকা সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসৃত হয়। কিন্তু ঠোঁটের ক্ষেত্রে তা হয় না। শীতের সময় ঠোঁট ফাটার সমস্যা বেশি হলেও, গরম বা বর্ষার দিনেও ঠোঁট আর্দ্র রাখার প্রয়োজন হয়। ফাটা ঠোঁটের যত্নে লিপ বামই বেছে নেন অনেকে। ঠোঁটকে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় করতে বুলিয়ে নেওয়া হয় লিপ গ্লস। কিন্তু লিপ বাম ও গ্লস ছাড়াও রয়েছে লিপ অয়েল। এই বিশেষ তেলের প্রলেপে ঠোঁট শুধু নজরকাড়া হয়ে ওঠে না, যত্নেও থাকে।
লিপ অয়েল কী?
ঠোঁটকে আর্দ্র রাখতে ব্যবহারের জন্য বিশেষ ধরনের তেল। এতে ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক তেল। ঠোঁটকে গভীর আর্দ্র ও যত্ন রাখতেই এর ব্যবহার হয়।
বাম ও গ্লসের সঙ্গে তফাৎ কোথায়?
লিপ বাম একটু চটচটে ও ঘন হয়। বাম ব্যবহারে ত্বকে আর্দ্রতা ফিরলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। অন্য দিকে, লিপ গ্লসে ঠোঁট কিছুটা আকর্ষণীয় ও চকচকে দেখায়। কিন্তু, এতে ঠোঁটের বাড়তি কোনও উপকার হয় না। কিন্তু লিপ অয়েল ঠোঁটকে দীর্ঘ ক্ষণ আর্দ্রতা দিতে ও যত্নে রাখতে পারে।
কেন ব্যবহার করবেন লিপ অয়েল?
১. সাধারণত যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁদের ঠোঁটও শুষ্ক হয়। গ্রীষ্ম ও বর্ষায়, দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে ত্বক ও ঠোঁটে আর্দ্রতা কমে যায়। আর্দ্রতার ঘাটতি পূরণে বাম ব্যবহার করেন অনেকে। তবে লিপ অয়েলের ব্যবহারেও ঠোঁট আর্দ্র থাকে।
২. ধূমপান করার ফলে অনেকেরই ঠোঁটে কালচে ছোপ পড়ে। রাতে শোয়ার আগে নিয়মিত লিপ অয়েল ব্যবহারে কালচে ছোপও দূর হয়।
৩. লিপ অয়েল তৈরিতে প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহৃত হয়। সেই তেলের গুণেই ঠোঁট নরম ও আর্দ্র থাকে।
কিভাবে ব্যবহার
যাঁরা চান, ঠোঁটে ভিজে ভাব থাক, ঠোঁট উজ্জ্বল দেখাক, তাঁরা লিপস্টিক ব্যবহারের পর লিপ অয়েল লাগিয়ে নিতে পারেন। পার্টিতে উজ্জ্বল কোনও পোশাক পরলে তার সঙ্গে ম্যাট লিপস্টিকের বদলে গ্লস ব্যবহার করলে ভাল লাগে। সে ক্ষেত্রে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহারের পর লিপ অয়েল লাগাতে পারেন। চাইলে লিপস্টিক ব্যবহারের আগেও লিপ অয়েল লাগিয়ে নিতে পারেন।
সূত্র: আনন্দবাজার