সোমবার , ৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন-আদালত
  2. কৃষি ও পরিবেশ
  3. খুলনা
  4. চট্টগ্রাম
  5. ঢাকা
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. বরিশাল
  8. বিনোদন
  9. মতামত
  10. ময়মনসিংহ
  11. রংপুর
  12. রাজশাহী
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সমগ্র অর্থনীতি

সংগ্রামী নারী টগরের সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মার্চ ৩, ২০২৫ ৫:৪১ অপরাহ্ণ

সাহিদা ইসলাম টগর, একজন সংগ্রামী নারী উদ্যোক্তা। ২০০৭ সালে তিনি তার স্বামী জহিরুল ইসলাম ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে শুরু করেন সৌখিন বিউটি পার্লার। পরিবারে আরেকটি পুত্র সন্তানের আগমনের সাথে পরিবর্তন হয় ব্যবসার প্রেক্ষাপট, রূপ নেয় ২০১০ সালে সৌখিন গ্লামার জোন এন্ড এসটি ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড নামে একটি ছোট ব্যবসার।

উদ্যোক্তা হওয়ার প্রেরণা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন- পলিটেকনিকে পড়ার সময়ই টগরের বিয়ে হয়। ডিপ্লোমা শেষ করার পরই সন্তানের মা হন তিনি। চার মাসের শিশুকে রেখে চাকরি করা কঠিন হয়ে ওঠে, তাই চাকরি ছেড়ে দেন। সংসারের অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে কী করা যায়, সেই ভাবনা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।

একদিন এক গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে পরিচয় হলে তিনি জানতে পারেন, গার্মেন্টস থেকে সিকুয়েন্সের কাজের অর্ডার দেওয়া হয়। টগর এই কাজ নিয়ে এলাকায় ১০০ জন নারীকে কাজে লাগিয়ে নিজের উদ্যোগ শুরু করেন। এরপর নিজে কিছু করার ইচ্ছা আরও প্রবল হয়। তিনি পার্লারের কাজ শিখতে নারায়ণগঞ্জ যান এবং ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নেন।

এর আগেও টগর সাবান, মোমবাতি, গাভী পালন ও মিনি গার্মেন্টস ব্যবসার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং তার মেঝ বোন ও দুলাভাইকে শিখিয়ে তাদের ব্যবসা দাঁড় করাতে সাহায্য করেছিলেন। তবে দুলাভাইয়ের অকালমৃত্যুর পর সেই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।
উদ্যোক্তা হিসেবে পথচলার বিষয়ে প্রতিবেদককে বলেন, পার্লার ব্যবসা শুরু করতে মূলধনের সংকট ছিল। টগর তার কাজিনের সাহায্যে লোন নিয়ে একটি ছোট পার্লার দেন। সংসার, সন্তান ও ব্যবসা একসঙ্গে সামলাতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। ১০ মাসের মধ্যেই তিনি পার্লারটি বড় করেন এবং ছয়জন বিউটিশিয়ান নিয়ে কাজ শুরু করেন। পরে বুটিক ব্যবসায়ও প্রবেশ করেন।

টগর তার বর্তমান পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিবেদনকে বলেন, আমি একটি বিউটিফিকেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালু করার পরিকল্পনা করছি। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে মসলিন শাড়িতে হ্যান্ড পেইন্টের কাজ করাচ্ছি এবং এটিকে বড় আকারে বিস্তৃত করতে চাই, যাতে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা পায়।
আরেকটি স্বপ্ন হলো গ্রামের নারীদের দিয়ে নকশি কাঁথার কাজ করিয়ে এক্সপোর্ট করব। তিনি চান, নারীরা ঘরে বসেই স্বাবলম্বী হোক এবং তাদের কাজ আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে যাক। সাহিদা ইসলাম টগরের এই সংগ্রামের গল্প অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

সর্বশেষ - রংপুর