বোতাফোগোর বিপক্ষে আগের ম্যাচে নেমেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে। চার দিন আগের সেই ম্যাচে নেমে একেবারে মোহিত করে না রাখলেও খারাপ খেলেননি। ১-১ গোলে ড্র সেই ম্যাচে নেইমার কেমন করেছেন, সে নিয়ে আলোচনার চেয়েও বড় হয়ে ছিল নেইমারের সান্তোসে ফেরার পর প্রথম ম্যাচের অনুভূতি।
কিন্তু আজ যখন সান্তোসের হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নামলেন নেইমার – শুরুর একাদশে নামলেন প্রথমবার, নেইমারকে দেখে বোঝা গেল, ব্রাজিলে ফিরলেও এখনো সেরা ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে তাঁর।
কাম্পেওনাতো পাউলিস্তায় আজ নোভোরিজোন্তিনোর বিপক্ষে সান্তোস গোলশূন্য ড্র করেছে। শুরু থেকে নেমে নেইমার ৭৫ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন। কিন্তু পায়ের জাদু তো পরের কথা, নেইমারকে দেখে সান্তোস সমর্থকদের মোহভঙ্গ হওয়ার দশা। পুরো ম্যাচে ৮ বার ড্রিবলের চেষ্টা করে সফল হতে পেরেছেন মাত্র একবার। তার চেয়েও ভয়াবহ পরিসংখ্যান এটি যে, ওই ৭৫ মিনিটে ২৪ বার তাঁর পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, তাঁর কোনো শটই প্রতিপক্ষ গোলপোস্টের পথে ছিল না!
অবশ্য ৩৩ পেরোনো নেইমারের পারফরম্যান্সকে এখনই আতশি কাঁচের নিচে ফেলে এভাবে বিশ্লেষণ করা ঠিক হবে না। সৌদি আরবের আল হিলালে দেড় মৌসুম থেকেও নেইমার চোটের পর চোটেই সময় কাটিয়েছেন, ম্যাচ খেলতে পেরেছেন মাত্র ৭টি। দীর্ঘমেয়াদি এত চোটের পর নেইমার যে এখনো ফিটনেসের চূড়ান্ত মাত্রায় যেতে পারেননি, সেটা তাঁর খেলা দেখেই বোঝা যায়। নিজেও সান্তোসে অভিষেকের দিনে ফিটনেসের ঘাটতির কথা বলেছিলেন নেইমার।
আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও বোঝা গেল, চূড়ান্ত ফিটনেস পাওয়া নেইমারকে দেখতে ব্রাজিল সমর্থকদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
আজকের ড্রয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের গ্রুপে ৮ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে তিন নম্বরে আছে সান্তোস। অবশ্য গ্রুপ পর্বে এখনো আরও চারটি ম্যাচ বাকি আছে সান্তোসের।