মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের যোগীমুরা গ্রামে জুড়ী নদী পারাপার হওয়ার সময় একটি মায়াহরিণ’কে হ*ত্যা করা হয়েছে। গতকাল (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হরিণটি জুুড়ী নদীর পারে ৮০ ঘর আশ্রয় কেন্দ্রের কাছে খাবারের সন্ধানে এসেছিল ছিল। লোকজন জড়ো হয়ে এখান থেকে ধাওয়া করলে প্রাণ বাঁচানোর জন্য নদীর পার হয়ে বনের দিকে যেতে চেয়েছিল। এক পর্যায়ে নদীর কিনারে গেলে দেলওয়ার নামে এক যুবক লাঠি দিয়ে সজোরে হরিণের মাথায় আঘাত করলে হরিণটি ঘটনাস্থলে মারা যায়।
গত কাল রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, নদীর পাড়ে মৃত অবস্থায় মায়া হরিণের দেহ পড়ে আছে। সেখানে বেশ কয়েজন মানুষের উপস্থিতি। স্থানীয় এক ব্যক্তি কিছু দূর থেকে বলছিলেন, বার বার আপত্তি করার পরেও হরিণটি কেন মারছো? এটাকে কে মারছে? উত্তরে কয়েকজন বলছিল, আলতার ছেলে দেলোয়ারে মারছে!
বন বিভাগ মৃত হরিণটিকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় এটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা বন্য প্রাণীটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর বন বিভাগের লোকজন স্থানীয় পুঁটিছড়া বিটে নিয়ে হরিণটিকে মাটিচাপা দেন।
এ বিষয়ে সিলেট বন বিভাগের দায়িত্তে থাকা জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন সংবাদ সারাবেলা’কে বলেন, স্থানীয় লোকজন বলেছেন, পাহাড়ের উপর থেকে হরিণটি পড়ে মারাত্মক আঘাত পেয়ে মারা যায়। পরে জানতে পারি এটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মায়া হরিণটি খাবারের সন্ধানে পুঁটিছড়া বন থেকে লোকালয়ে চলে এসেছিল বলে প্রাথমিক ধারণা করা হয়েছে।