মারাত্মক দেমাকি আর অহঙ্কারী কিয়ারা আডবানি। কিয়ারার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিমানসেবিকার। ফ্লাইটেই অভিনেত্রী করেছিলেন চরম দুর্ব্যবহার।বলি সুন্দরী নাকি বাজে ব্যবহার করেন সবার সাথেই। বিমান সেবিকার মন্তব্যে শোরগোল নেট পাড়ায়। ‘কিয়ারা খুব নাকউঁচু, তবে জাহ্নবী অন্য রকম’। অনন্যাকে নিয়েও করলেন বড়সড় মন্তব্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের মত ভাইরাল সেই ভিডিও। সিদ্ধার্থের বউ হওয়ারই যোগ্য নন কিয়ারা। বলছে নেট জনতা। ঠিক কী ঘটেছে বিমানে? জানাব বিস্তারিত।
কেরিয়ারের শুরুর থেকেই তিনি মারাত্মক সফল। কিয়ারার অধিকাংশ ছবিই বক্স অফিসে সুপারহিট। করণ জোহরেরও স্নেহধন্যা বলা চলে। বি-টাউনেও মিষ্টি নায়িকা বলে সুখ্যাতি রয়েছে তার। অথচ সেই কিয়ারা নাকি বাস্তবে এমনটা একেবারেই নন। রিয়েল লাইফে নাকি অহঙ্কারে মাটিতে পা পড়েনা সিদ্ধার্ত ঘরণীর। বিমানসেবিকার মন্তব্যে রীতিমত হইচই বলিপাড়ায়।
সম্প্রতি এক ভিডিওবার্তায় ঐ বিমান সেবিকা জানিয়েছেন, মারাত্মক অ্যাটিটিউড প্রবলেম রয়েছে কিয়ারার। বিমানেই ঘটিয়েছিলেন ভয়ঙ্কর কাণ্ড। কেন? তাও নাকি কাজু আর আমন্ড নিয়ে। বিমানসেবিকার জানিয়েছেন, কাজু আর আমন্ড চেয়েছিলেন কিয়ারা। আর সেটাই দিতে গেছিলেন তার এক সহকর্মী। তবে কিয়ারা তা নেননি। উল্টে খুব খারাপভাবে তা প্রত্যাখান করেন। এবং মুখের উপর বলেন, এসব তিনি একমাত্র তার সহকারীর হাত থেকেই নেবেন।
ব্যাপারটা যে নিন্দনীয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিয়ারার এই ব্যবহারে কষ্ট পেয়েছিলেন ঐ বিমানকর্মী। সম্প্রতি এই ভিডিও ক্লিপটিই ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা শেয়ারও হচ্ছে। কেউ বলছে, ‘বলিউডে সবাই সমান। এরা যতটুকু ভালো দেখায় কেবলই ক্যামেরার জন্য।’ অন্যজন লিখেছেন, ‘সেলিব্রেটিরা সাধারণ মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করেনা। এরা ভুলে যায় যে, ভক্তদের জন্যই তারা তারকা।’ যদিও কিয়ারার অনুরাগীরা কোনও প্রমাণ ছাড়া এই দাবি মানতে নারাজ। অনেকেই লিখেছেন, হতে পারে হাইজিন মেইনটেইন করার জন্যই কিয়ারা তা প্রত্যাখান করেছিলেন।
আপনার কী মতামত? একজন বিমানসেবিকার সাথে এই ব্যবহার কি করা যায়? নাকি এই ব্যবহার করা উচিত? ভদ্রতার খাতিরে তিনি তো তাই নিয়ে রেখেও দিতে পারতেন।
কিয়ারার পাশপাশি আরও দুই অভিনেত্রীকে নিয়ে কথা বলেছেন ঐ বিমানসেবিকা। তিনি জানান, জাহ্নবী কাপুর খুবই ভদ্র এবং বিনয়ী। একাধিকবার তার সাথে সফর করেছেন তিনি। একবার ইমার্জেন্সি আসনে বসে ঘুমিয়ে গেছিলেন জাহ্নবী। তাকে সেখান থেকে উঠতে বললে, কোনও বিরক্তি প্রকাশ না করেই আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন।
সেই সাথে অনন্যা পাণ্ডেরও ভরপুর প্রশংসা করেছেন তিনি। বিমান সেবিকা বলেন, অনন্যা বেশ মজাদার। একটুও অহঙ্কার নেই তার মধ্যে। একবার ফ্লাইট ল্যান্ড করার ঠিক আগে মুহুর্তে বাথরুমে ছুটেছিলেন অনন্যা। ওদিকে সমস্ত যাত্রী তখন বিমান থেকে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনন্যাকে সেটা বলা হলে তিনি বলেন, তিনি আর কোনোভাবেই সামলাতে পারছেন না। তাই বাথরুম তাকে যেতেই হবে। তবে ভিডিওতে বিমান সেবিকা যা বলেছেন তার সত্যতা কতখানি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে নেটিজেনদের একাংশ।
