এসি ব্যবহারে কিছু সতর্কতা না মানলে তা হতে পারে ক্ষতির কারণ। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না করে চালানোর কারণে এসির বিস্ফোরণ যেমন ঘটছে, তেমনি শরীরের জন্যও এই এসির বাতাস হতে পারে ক্ষতিকর।
এসির ব্যবহার শারীরিক যেসব ক্ষতির কারণ হতে পারে দেখা যাক:
মাথা ব্যথা: এসি ঘরে থাকার সব থেকে বড় সাইড ইফেক্ট হলো মাথা ব্যথা। দেখা গেছে, দীর্ঘক্ষণ এসি ঘরে থাকার পর মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকেটাই বেড়ে যায়। কারণ, এসি চললে আবহাওয়ার কোয়ালিটি কমে যায়।
ডিহাইড্রেশন: যে ব্যক্তিরা এসি রুমে থাকে তারা অনেক বেশি ডিহাইড্রেটেড থাকে। আসলে এসি ঘরের মধ্যে থেকে সব আর্দ্রতা শুষে নেয়।
শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সিম্পটম বেড়ে যায়: চোখ‚ নাক‚ গলায় অসুবিধা হতে পারে। যেমন- বন্ধ নাক‚ ড্রাই থ্রোট বা rhinitis হতে পারে বা চোখ দিয়ে পানি পড়া | যারা এসি ঘরে থাকছে তাদের এইসব হওয়ার প্রবণতা অনেকেটাই বেড়ে গেছে।
সহজেই ক্লান্ত লাগা: ঘর বা অফিসের এসি এমনভাবে বানানো হয় যাতে শরীর ঠান্ডা হয়। কিন্তু রিসার্চ বলছে যে সব বাড়িতে বা অফিসে এসি চলে তারা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
ড্রাই ইচি স্কিন: সাধারণত গরমকালে আমরা এসির ব্যবহার বেশি করি। এ সময় সূর্যের এক্সপোজারও অনেক বেশি থাকে। ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। দেখা দিতে পারে চুলকানির সমস্যাও। এটার একটা নামও আছে ‘সিক বিল্ডিং সিন্ড্রোম’।
ড্রাই আইজ: দীর্ঘসময় এসি ঘরে থাকলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে চোখ কড়কড় করবে বা চুলকাবে। চোখ জ্বালাও করতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দেখা গেছে তারা অস্পষ্ট দেখছে।
ইনফেকশাস ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়: যেহেতু দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে নাকের প্যাসেজ ড্রাই হয়ে যায়। ফলে মিউকাস মেমব্রেনে ইরিটেশন হতে পারে বা মিউকাস শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে ভাইরাস সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
অ্যাজমা আর অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে: দীর্ঘ সময় এসি রুমে থাকলে অ্যাজমা আর অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে। দেখা গেছে, যে এসিগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না সেইরকম ঘরে থাকলে অ্যাজমা আর অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়।