সম্প্রতি ধারাভাষ্যকার হিসেবে বিভিন্ন সিরিজে দেখা যাচ্ছে নতুন মুখ। নতুন প্রতিভা তুলে আনতে দারুণ উদ্যোগী হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবির নির্বাচিত নব্য প্রতিভাবানদের একজন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর শিক্ষার্থী নুজহাত সাবা ফেরদৌস। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজে সুযোগ পেয়েছেন ধারাভাষ্যকার হিসেবে।
প্রথমের ম্যাচের দিন দেরিতে আসার কারণ কি পরীক্ষা?
নুজহাত সাবা : হ্যা, কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়ে রেখেছিলাম প্রথম ইনিংস পারবো না, আমার পরীক্ষা আছে। তারা বলেছিল অসুবিধা নেই। পরীক্ষার কারণেই দেরি হয়েছে।
প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
নুজহাত সাবা : অভিজ্ঞতা ভালোই ছিল। ধারাভাষ্যকার হিসেবে সহকর্মী যারা ছিলেন তারা অনেক সহযোগিতা করেছেন। তারা আমার যাত্রাকে সহজ করে দিয়েছেন, মজার করে দিয়েছেন। কোথায় কী বলতে হয়, শিখিয়ে দিতেন। যখন বলতে পারতাম ভালোই লাগত।
ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজের সুযোগটা কিভাবে পেলেন?
নুজহাত সাবা : সাথিরা জাকির জেসি আপু আমাকে বলেছিলেন প্রস্তুতি নিতে। এমন সুযোগ আসলে যেন কাজে লাগানো যায়। তার কথা মতো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তিনিই আমাকে বলেছেন অডিশন দিতে।
বিসিবি সভাপতি আপনার সাথে কথা বললেন, কী বললেন তিনি?
নুজহাত সাবাহ : স্যার বলেছেন, ভালো করছো। চালিয়ে যাও। আরো প্রেক্টিজ করো। স্যার অনেক উৎসাহ দিয়েছেন।
জাতীয় লিগে খেলেছেন, জাতীয় দলে আপনাকে দেখা যাবে কিনা? সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছেন কি?
নুজহাত সাবা : আমি যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করি আমার একটাই স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে যেন খেলতে পারি, বাংলাদেশের জার্সি পরে যেন খেলতে পারি। এখনো সেটাই আমার প্রধান গুরুত্ব। কতদূর আগাতে পারি, আল্লাহ কপালে যতদূর রেখেছে।