আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীতে মা আমিনার কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আইয়্যামে জাহিলিয়াতের ওই সময়ে মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন মহানবী।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। সারা দেশে পালিত হচ্ছে সরকারি ছুটি।
ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, ৬৩ বছর বয়সে ১১ হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল মদিনায় ইন্তেকাল করেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মহানবীর জন্ম ও মৃত্যুর এই দিনটিকে সারা বিশ্বের মুসলমানরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করছেন।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রয়েছে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-নাত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামী বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।
পাশাপাশি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৪টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।