স্বপ্নের মত এক টেস্ট সিরিজ শেষ করল টাইগাররা। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের ১৫ বছর পর এমন দাপট দেখিয়ে বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের নিজেদের কন্ডিশনে বাঘা বাঘা সব পেস বোলারদের তুলোধুনা করে, পাকিস্তানের দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইন-আপকে পাড়ার ব্যাটার বানিয়ে ঐতিহাসিক এক টেস্ট সিরিজ জয়ের মুখ দেখল টাইগাররা।
আজ (৩ সেপ্টেম্বর ) রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের শেষ টেস্টের পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৪৩ রান। চতুর্থ দিন শেষে মেঘলা আবহাওয়া এবং আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা লাঞ্চের পর বেশিদুর এগোয় নি। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অল আউট হয়ে গেলে টাইগারদের জয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ১৮৫ রান। দুই ওপেনার মিলে ৪২ রান তুলে অপরাজিত থেকে দিনশেষ করেন।
পুরো সিরিজ জুড়েই বৃষ্টি বারবারই বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। আজও ছিল বৃষ্টির শঙ্কা। তবে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হলে গতদিনের মত ঝড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন জাকির হোসেন। তবে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪০ রানে হামজার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান এই ওপেনার। কিছুক্ষণ পর সাদমান ইসলাম ও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান।
জেতার জন্য আরও ১১৫ রান দরকার তখন বাংলাদেশের। ক্রিজে ক্যাপ্টেন শান্ত ও মমিনুল। দুজনের ৫৭ রানের পার্টনারশিপে দল তখন জয়ের প্রহর গুনছে।
তবে লাঞ্চের পর শান্ত এবং মমিনুল দুজনই সাজঘরে ফেরেন। তখনো হাতে আছে ছয় উইকেট। জয়ের জন্য বাকি ৩২ রান।
অবশেষে আর কোনো ঝামেলা ছাড়াই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্যাম্পেইনার মুশফিক ও সাকিব জয়ের বন্দরে ভেড়ান বাংলাদেশ দলকে। আর এতেই লেখা হয় ইতিহাস।
গত বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুর্দিন যেন পিছু ছাড়ছিল না। সমালোচনার মুখে পড়েছিল পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
তবে নতুন বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ ক্রিকেটেও যেন নতুন দিনের শুরু হল। সামনের দিনগুলোয় এই বাংলাদেশ দলকেই চাইবে সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা সকল বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্তরা।